নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে গ্রেফতার করে জাতির সামনে হাজির এবং তার পরিবারের সব অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে জব্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা। একইসঙ্গে তারা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বরখাস্তের দাবি জানান। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে সমস্ত হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসের মূল নায়ক হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রামের সিরাজউদ্দৌলা রোডে হাছান মাহমুদের ১৪ তলা ভবনসহ রাঙ্গুনিয়ায় পেট্রোল পাম্প, বাড়িসহ তার পরিবার ও ভাই-বোনদের সব অবৈধ সম্পদ জরুরিভিত্তিতে জব্দ করে সরকারের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দুই দিন আগে শান্তি কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশদাতা হিসেবে তাকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
বিবৃতিতে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সম্প্রতি সার্কিট হাউজ ও জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী নেতারা ও সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে যে উদ্ধত আচরণ দেখিয়েছেন সেজন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক নসরুল কাদির চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাসান আরিফ, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ড্যাব মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কোর্ট বিল্ডিং শাখার সভাপতি আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মো. আলাউদ্দিন ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন পারভেজ।